বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জ থেকে এমদাদুর রহমানঃ— প্রাথমিক শিক্ষাকে বলা হয় শিক্ষার ভিত্তি। এ স্তরেই শিক্ষার হাতে খড়ি হয়। শিশুর সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে ভিত্তি মজবুত হয় আগে। প্রাথমিক শিক্ষা আজ নানা ভাবে বাঁধাগ্রস্থ। সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতায় কিন্ডারগার্টেন। ভালো মানের কিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যাদের রেজাল্ট সরকারী স্কুলের চেয়েও ভালো। সেখানে বেশি বেতন দিয়ে ধনীদের সন্তানরা লেখাপড়া করে। তবে ভালো মানের কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা খুবই কম। কিন্ডারগার্টেন পরিচালিত হচ্ছে বাড়া বাড়িতে। শিক্ষার নিয়মনীতি না মেনে বেঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে কিন্ডারগার্টেন। এই সব শিক্ষকদের নেই তেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ। ইচ্ছা মতো সিলেবাস তৈরি করে বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আড়াই বছর বয়স থেকে তিন বছরের শিশুকে স্কুলে ভর্তি করে শিক্ষার বৈসম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। প্রাইভেট পড়াও ধনী ও গরীব শিশুদের ভিন্ন চোখে দেখে কেজি স্কুলে।
এক শ্রেণির অসাধু অদক্ষ ও বেকার যুবক সরকারকে ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার নামে রমরমা বাণিজ্য করে চলছে। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না হলে শিশুরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে শিক্ষার আমূল পরিবর্তন। ধনী ও গরীবদের সন্তানদের মিলেমিশে থাকার সুযোগ আছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষার উপর নিয়মিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি ও ঝড়ে পড়া হ্রাসে সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কেজি স্কুল ঠেকাতে সরকার নার্সারী শ্রেণি চালু করেছে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply